ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার কুরচাই গ্রামে সেপটিক ট্যাংকে নেমে ‘বিষাক্ত গ্যাসে’ আক্রান্ত হয়ে শ্রমিকসহ ২ নিহত হয়েছেন। ৪ শ্রমিক গুরুতর অস্যুস্থ হয়েছেন।
রবিবার দুপুরে উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নের কুরচাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, কুরচাই গ্রামের মান্নান সরকারের ছেলে হুমায়ূন ( ৩৩), সিরাজ উদ্দিনের ছেলে শ্রমিক হিমেল ( ২৫) । সেপটিক ট্যাংকের বিষাক্ত গ্যাসে গুরুতর অস্যুস্থ হয়েছেন আব্দুল আলীর ছেলে শরীফ (২৭), মোছলেম উদ্দিনের ছেলে মাজহারুল (১৮), আলিম উদ্দিনের ছেলে আলতাব (৩৩), তমিজ সরকারের ছেলে মুর্শিদ (২২) । আহত ও নিহতদের বাড়ি কুরচাই গ্রামে ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গ্রামের আব্দুল মান্নান সরকারের বাড়িতে মিস্ত্রিরা কয়েকদিন আগে টয়লেটের পুরাতন সেপটিক ট্যাংকের পাশে নতুন সেপটিক নির্মাণ করে তার মুখ বন্ধ করে চলে যান। রবিবার দুপুর ১টার দিকে ওই নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকের ছাদ ঢালাইয়ের সার্টার খুলতে শ্রমিক মুর্শিদ ট্যাংকের ভেতরে নামেন। এ সময় বিষাক্ত গ্যাসে মুর্শিদ আক্রান্ত হয় । মুর্শিদকে বাঁচাতে গৃহকর্তার ছেলে হুমায়ূন ও শ্রমিক হিমেল সেপটিক ট্যাংকে নামে এবং তাদের চিৎকারে তাদেরকে বাচাঁতে একে একে মাজহারুল, আলতাব, শরীফও সেপটিক ট্যাংকে নেমে বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয় । এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে হুমায়ূন ও হিমেলের মৃত্যু হয়। মাজহারুল ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, শরীফ শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং মুর্শিদ ও আলতাব শ্রীপুর উপজেলার বরমী এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।
পাগলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহিনুজ্জামান খান বলেন, নিহত ২ জনের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে ।
দৈনিক বাংলা পত্রিকা / আতাউর রহমান মিন্টু
Facebook Comments