বৈশাখের দ্বিতীয় সপ্তাহ। মাঠ জুড়ে সোনালি ফসলের ঢেউ। পাকা ধানের মধুর ঘ্রানে মাতোয়ারা হওয়ার পরিবর্তে চিন্তার ভাজ পড়েছে উপজেলার গফরগাঁও গ্রামের বিধবা কৃষানী বিউটি বেগমের (৩৮) কপালে । করোনাভাইরাস সংক্রমনের ভয়ে অন্য জেলা থেকে শ্রমিক আসতে মানা থাকায় মিলছে না ধান কাটার শ্রমিক । সময় মত ক্ষেতের ধানগুলো কাটতে না পারলে ক্ষেতের ধান ক্ষেতেই নষ্ট হবে। সংকটের এই দিনগুলোতে ক্ষেতের ধান গোলায় তুলতে না পারলে এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অর্ধাহারে, অনাহারে দিন কাটাতে হবে, এই চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন বিধবা কৃষানী বিউটি বেগম।
এই সংবাদ জানতে পেরে স্থানীয় এমপি ফাহমী গোলন্দাজ বাবেলের অনুপ্রেরনায় কৃষানীর পাশে দাড়াঁয় গফরগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগ। শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শরীফুল ইসলাম মন্ডলের নেতৃত্বে প্রায় ২৩/২৪ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী কৃষানী বিউটি বেগমের প্রায় ২০ শতাংশ জমির ক্ষেতের ধান স্বেচ্ছাশ্রমে কেটে ও মাথায় করে নিয়ে এসে মাড়াই করে দেন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা একই গ্রামের কৃষক মোস্তফা মিয়ার (৫৫) প্রায় ৪০ শতাংশ জমির ধান কেটে কৃষকের বাড়িতে পৌছে দেন।
কৃষানী বিউটি বেগম বলেন, আমার স্বামী মারা গেছে প্রায় তিন বছর হল । জমির পাকা ধান নিয়ে দুশিন্তায় ছিলাম, শ্রমিক পাচ্ছিলাম না। ছাত্রলীগের ছেলেরা এসে আমার ধান কেটে দিয়ে আমার ভাবনা দূর করেছে। এতে আমার ধান কাটার খরচও বেঁচে গেছে। তারা যে আমার উপকার করেছে, আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। দোয়া করি, আল্লাহ তায়ালা তাদের মঙ্গল করুক।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শরীফুর ইসলাম মন্ডল বলেন, আমাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেলের নির্দেশে আমরা কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছি । আমাদেও এই কার্য্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
স্থানীয় এমপি ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল বলেন, দুই ছাত্রলীগ কর্মীর কাছ থেকে সংবাদটি পাই । উপজেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে উনার জমির পাকা ধান কেটে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। এই দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
দৈনিক বাংলা পত্রিকা / আতাউর রহমান মিন্টু
Facebook Comments