সরকারের নতুন সময়সীমা অনুযায়ী সকাল ১০ টা ব্যাংকিং শুরু। সকাল নয়টার অনেক আগেই পৌর শহরের কলেজ রোডে রুপালী ব্যাংকের সিড়ি থেকে নীচের রাস্তা পর্যন্ত লম্বা লাইন। সোমবার ব্যাংকিং সময়ে রুপালী ব্যাংকে গিয়ে দেখা যায়, থিকথিকে ভিড়। করোনা-সতর্কতায় দূরত্ব মেনে লাইনে দাঁড়াননি কেউ। মানুষ গা ঘেঁষাঘেষি করেই টাকা উত্তোলন ও জমা দেওয়ার জন্য লাইনে দাড়িয়েছে । ভিড়ের মধ্যে একজনের গায়ের উপরে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন অন্যজন। ব্যাংকের লোকজন সর্তকতার স্বার্থে কমপক্ষে তিনফুট দুরুত্ব বজায় রেখে লাইনে দাড়ানোর জন্য বারবার ঘোষনা দিচ্ছে । তবু ভিড়ের মধ্যে সে কথা মাথায় আসছে না। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ব্যাংকের প্রধান কলাপসিবল গেইট বন্ধ করে দিয়েছে । দো’তলার ব্যাংকে প্রবেশের রাস্তা থেকে সিঁিড় বেয়ে নীচতলার মার্কেট ও শহরের প্রধান সড়ক পর্যন্ত দীর্ঘ লাইন। গত দুইদিন ধরে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এমনই চিত্র দেখা গেছে শহরের রুপালী, অগ্রনী ও সোনালী ব্যাংকের শাখাগুলোতে।
রুপালী ব্যাংকে টাকা তুলতে আসা সরকারি চাকুরীজীবি হেলাল উদ্দিন (৫১) বলেনন, ‘করোনা নিয়ে সচেতন আছি। তবুও প্রয়োজনের তাগিদে ব্যাংকে টাকা তুলতে ব্যাংকে শত শত মানুষ দেখে অবাক হয়ে গেছি। এত অল্প জায়গায় এত মানুষ অব্যশই ঝুঁিকপূর্ন ।’
অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক আব্দুল মতিন জানায়, সে অগ্রনী বাংক গফরগাঁও শাখায় গিয়ে পেনশনের টাকা তুলতে পারেননি। পেনশনের টাকা তুলতে না পারায় পরিবার পরিজনসহ সে বেকায়দায় পড়ে যাবে।
গফরগাঁও শাখা রুপালী ব্যাংকের ম্যানেজার মোবারক হোসেন বলেন, মূলত সরকারি চাকুরীজীবিরা বেতনের টাকা তুলতে ভিড় করছেন বেশি। ব্যাংকে ভিড় ও লেনদেন আগের থেকে বেশী । মাত্র তিনঘন্টা লেনদেন থাকায় ব্যাংকের লেনদেন শুরু হওয়ার আগেই অনেক গ্রাহক ব্যাংকের গেইটে দাড়িয়ে যান।
দৈনিক বাংলা পত্রিকা / আতাউর রহমান মিন্টু
Facebook Comments