করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বিভিন্নভাবে গণসচেতনতা গড়ে তোলা হচ্ছে। কিন্তু এরপরও গফরগাঁও উপজেলার হাটবাজারগুলোতে কমছে না লোকসমাগম। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে সাপ্তাহিক এই হাটবাজারগুলোতে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের উপচে পড়া ভিড়। কয়েকজন ছাড়া কারও মুখেই নেই মাস্ক।
সোমবার বিকালে পৌর শহরের সাপ্তাহিক সালটিয়া হাটে সরেজমিনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়। বাজারে হাজারো মানুষের ভিড়। শত শত খুচরা ব্যবসায়ী পণ্র বিক্রি করতে এবং হাজারো ক্রেতা সাধারণ কাঁচামালসহ নিত্যপণ্য কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন।
স্থানীয়রা জানান, এখানে সোমবার একদিন বৃহত্তর হাট বসে। সম্প্রতি দেশের করোনাভাইরাস প্রার্দুভাব পরিস্থিতিতে লোকসমাগম কমাতে উপজেলার সাপ্তাহিক হাটগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। তবে এসব নির্দেশ অমান্য করে আগের মতো এখনো নিয়মিত বসানো হচ্ছে গফরগাঁও পৌরশহরের সাপ্তাহিক সালটিয়া হাট। ফলে কমছে না লোকসমাগম। এতে করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি।
হাটে আসা কাঁচামাল ব্যবসায়ী ঈসহাক মিয়া (৫৮) বলেন, ‘করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কাঁচামালের চাহিদা বেড়েছে অনেকটাই। ক্রেতা সাধারণের এ চাহিদা পূরণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাইকারি কাঁচামাল বিক্রি করতে এসেছি।’
সবজি বিক্রেতা আবুল হোসেন (৪২) বলেন, বিক্রি করতে না পারলে ক্ষেতে উৎপাদিত সবজি নষ্ট হয়ে যাবে । আতংক আছে তবুও সবজি বিক্রি করতে এসেছি ।
ক্রেতা মজিবুর রহমান (৪৮) বলেন, ‘করোনা নিয়ে সচেতন আছি। তবুও প্রয়োজনের তাগিদে হাজারো মানুষের ভিড়ে তরকারিসহ অন্যান্য পণ্যসামগ্রী কিনতে এসেছি।’
এছাড়াও সাম্প্রতিক করোনা আতংকের মধ্যেও উপজেলার গ্রামের বিভিন্ন ছোট-বড় বাজার গুলোর সাপ্তাহিক হাটবারে হাজার হাজার লোক ভিড় করে।
গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মাহবুব উর রহমান, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ।
দৈনিক বাংলা পত্রিকা / আতাউর রহমান
Facebook Comments